Posts

Showing posts from February, 2025

রম্য রচনা : প্রশ্নোত্তরে অর্থ

Image
প্রশ্ন ১ :  অর্থ কি ? উত্তর : যাবতীয় অনর্থের মূল। প্রশ্ন  ২ : অর্থ  কি খায় ? উত্তর   :  মানুষের মাথা খায়। প্রশ্ন  ৩ : অর্থ  কোন ' বাদে' বিশ্বাসী ? উত্তর : ভোগবাদে। প্রশ্ন  ৪ : অর্থের  সাথে মনের সম্পর্ক কি ? উত্তর  :  ব্যাস্তানুপাতিক।              অর্থাৎ অর্থের পরিমাণ বাড়লে মনের                পরিমাণ কমে। প্রশ্ন  ৫ :  অর্থের  সাথে আভিজাত্যের সম্পর্ক  কি ?                       উত্তর    :  অর্থ ও মেকি আভিজাত্য সমানুপাতিক।                অর্থাৎ অর্থের  পরিমাণ বাড়লে মেকি                 আভিজাত্যও  বাড়ে।তবে প্রকৃত                  আভিজাত্যের সাথে এরূপ কোন সম্পর্ক               ...

অণু রম্য : সন্ধান চাই

Image
অতি সম্প্রতি মুখমন্ডল ফাঁড়ি এলাকার ঠোঁটপল্লীর মাঝের ফাঁক পাড়ার ৩২/২ পাটি লেনের নিজস্ব বাড়ি থেকে হাঁড়িমুখে নিখোঁজ হয়েছেন হাসি।পিতার নাম সুখ আনন্দ ও মাতা শান্তিময়ী দেবী। বিবরণ : নিখোঁজ হওয়ায় সময় পরনে ছিল ' মলিন বসন ' কোম্পানির ফ্যাকাশে রঙের পোশাক। বয়স : সঠিক জানা নেই।এ সম্পর্কে নানা মুনি নানা মত পোষণ করেন। গায়ের রঙ : ঝলমলে। প্রিয় খাদ্য : আবেগ। বিশেষ চিহ্ন : আড়চোখে তাকালে বাঁ চোখের তারায় আলতো পটলচেরা দাগ। মাতৃভাষা : প্রাণখোলা। তাছাড়াও হি-হি, হো - হো,মুচকি, অট্ট,মাপা,আঁতেল, গোঁফেল, ও টোল ভাষাতেও চোস্ত। পছন্দের স্থান :  গালের টোল,ঠোঁটের কোণ, মুগ্ধচোখ,রসিকমন,কাতুকুতু,লাজুক ঠোঁট। নিখোঁজ হওয়ার আগে বেশ কিছুদিন যাবৎ মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।চিকিৎসকেরা বলেছেন মানসিক অবসাদের কারণ পাগলামি নয়।কারা যেন তার মনের দুয়ারে তালা দিয়ে চাবিকাঠি নিয়ে চলে যাওয়ার তিনি বেশ কিছুকাল প্রিয় খাদ্য আবেগ না পাওয়ার হতাশায় দুর্দশাগ্রস্থ মাত্ৰ।কেউ সন্ধান দিতে পারলে একমুখ মুক্তোঝরা হাসি পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে। সন্ধান জানাবার ঠিকানা : স্পেশাল সুপারিনটেনডেন্ট অফ মাইন্ড, এম আই ডি ( মাইন্ড ইনভেস্টিগেশন ডিপ...

রম্য রচনা : দাঁতালের প্রেম

Image
 আড়াবাড়ির গভীর জঙ্গলের দিকে এগিয়ে চললো কুনকি। কুনকির চালচলনে যে একটা হম কিসিসে কম নহী ভাব  আছে তা তার চলার ছন্দ দেখেই বুঝা যায়।কুনকির ফেটে পড়া যৌবনে যে জাদু আছে তা কুনকির ট্রেনার জানে।আজ পর্যন্ত সে কম দাঁতালকে কাবু করে নি।কুনকির উপর ভরসা করা যায়।সেই আশাতেই বিট অফিসার ও রেঞ্জার সাহেবের রক্ত উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটতে লাগলো।দলছুট দাঁতালকে ও মাতাল করে ছাড়বে সেই আশাতেই ভরসা করে বসে আছেন রেঙ্গার সাহেব। কুনকি কাছাকাছি  যেতেই দাঁতাল কুনকির দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো।চোখের পলক আর পড়ে না।মনে মনে ভাবে আবার নতুন করে ঘর বাঁধলে  কেমন হয় ! কুনকি ও যেন কেমন হয়ে গেল।মনে মনে ভাবলো দাঁতালকে কাৎ করতে এসে নিজেই চিৎপাত হয়ে যাচ্ছে না তো। কিন্তু সে তো প্রফেশনাল ।তার তো আবেগ থাকলে চলবে না।তার মধুর মধুর কথায় দাঁতাল তো আইসক্রিমের  মত গলে জল।কুনকির সাথে গল্প করতে করতে দাঁতাল  এগিয়ে চললো  অফিসারদের পাতা ফাঁদের দিকে।হঠাৎ - ই কুনকি  আবিষ্কার করলো এতক্ষণ যে সব কথা বলে দাঁতালকে ফাঁদের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল  তা শুধু তার মুখের কথা নয়, মনেরও। কুনকি দাঁতালের শু...

রম্য রচনা : সাংসারিক ক্রিকেট

Image
ক্রিকেট কি শুধু শচীন - সৌরভ খেলে ? আমরা খেলি না! তাহলে ক্রিকেট নিয়ে এত মাতামাতি কেন ? অফিসে হাজিরা কম।কাজে মন কম।স্কুল এ ছাত্র কম। বাজারে সব্জি কম।বাসে ভিড় কম।রাস্তার লোক কম।প্ল্যাটফর্মে চেকার কম।ট্রেনে হকার কম।রকে রকে আড্ডা কম। মা -  বাবার বকুনি কম। সেলুনে লাইন কম।চোখে ঘুম কম।নিঃশ্বাসে বিশ্বাস কম।টিমের ওপর আস্থা কম।বেশি শুধু টিভির সামনে ভিড়।এ নিয়ে কাউকে কিছু বলি না,কেন না বললেই সম্পর্কে ধরবে চিড়। আরে না না ,আপনার সাথে আমার সম্পর্কটা তো একটু ইয়ের মতো মানে একটু বেশ মাখো মাখো তাই বলছিলাম আর কি ? আচ্ছা আপনিই বলুন আমরা কি ক্রিকেট খেলি না ? শচীন - সৌরভ - রাহুল - কুম্বলের ক্রিকেটের চেয়ে আমাদের ' সাংসারিক ক্রিকেট ' কম কিসে? ফারাক শুধু ওরা ' ব্যাট'নিয়ে লড়ে আর আমরা ',ব্যাগ' নিয়ে লড়ি।ওদের ক্রিকেটের থেকে আমাদের ক্রিকেটের হয়তো কিছু কিছু ফারাক আছে।তাই বলে নামের ফারাক এত হবে কেন ?ওরা হলেন ' ক্রিকেটার'আর আমরা হলাম ' ছাপোষা '। আর 'ছা' পোষে না কে শুনি। আর ' ছা' পুষি বলেই তো আজ তেত্রিশ কোটি কে একশো পার করে দিলাম।ওরা একশো পার করলে তো হৈ ...

রম্য রচনা : দূর্গা যাবেন বাপের বাড়ি

Image
মর্ত্যের বাতাসে এখন আনন্দফোয়ারা।নীল আকাশে হাসিমুখে ঘোরাফেরা করছে পেঁজাতুলা মেঘ।রোজ ভোরে সূর্যদেবের লাজুক উঁকিমারা দেখে ভরে যাচ্ছে মানুষের মন।আনন্দে গদগদ  হয়ে সূর্যদেব সোনাগলা রোদ্দুর ছড়িয়ে দিচ্ছে সবুজ গাছের প্রতিটি পাতায়।মাঠে মাঠে কাশফুলের হাসি ও শিউলি ফুলের গন্ধ মনে করিয়ে দেয় মা দূর্গার আগমন বার্তা।ঘাসের আগার মুক্তো শিশির মনে করিয়ে দেয় গ্রামে ফেরার কথা।আর তাই পথে পথে মানুষের ঘরে ফেরার ঢল।বাড়ীঘর সব সেজেগুজে ঝকঝকে তকতকে।দোকানে দোকানে রং বেরং এর পোশাকের মেলা।আনন্দে মাতোয়ারা মর্ত্য। অন্যদিকে কৈলাসে বিষাদের সুর। মা দূর্গা বাপের বাড়ি গেলে শ্মশানে মশানে থাকা ভোলেভালা ভোলা মহেশ্বরের কি হাল হকিকত হবে সে কথা ভেবে ভেবেই সকলের গালে হাত।এদিকে দেবীদুর্গার মর্ত্যে যাবার দিন যত এগিয়ে আসছে মহাদেবও তত মনমরা হয়ে যাচ্ছেন।হাসির মোড়কে যতই ঢাকার চেষ্টা করুন না কেন  বডি ল্যাঙ্গুয়েজ কিন্তু অন্যকথা বলছে।কিন্তু কি আর করা যাবে।বাপের বাড়ী বলে কথা ।তাও আবার মাত্র তিনদিনের জন্য।সে তো ছাড়তেই হবে ।তবে দূর্গাকে নিয়ে মহাদেবের গর্বও কম নয়। কেননা মহাদেব ভাল করেই জানেন আজকের দিনের মর্ত্যের আল্ট্রামডার...

রম্যরচনা : রাহুনাশজী আসছেন

Image
( রাহুনাশজী একটি কল্পিত চরিত্র) আনন্দ সংবাদ !                      আনন্দ সংবাদ! আপনাদের শহরে আপনাদের সুবিধার্থে আপনাদের হাতের কাছের 'ওমুক' লজে মাত্র তিনদিনের জন্য আসছেন জ্যোতিষশাস্ত্রে আলোড়ন সৃষ্টিকারী জ্যোতিষ সম্রাট, জ্যোতিষ গুরু,জ্যোতিষ প্রভাকর, জ্যোতিষ বাচস্পতি, তন্ত্রসিদ্ধ মহাসাধক, তন্ত্রভৈরব, বাস্তুবিদ এবং জ্যোতিষ এর বিভিন্ন শাখায় বিভিন্ন ধরণের ধাতুর অসংখ্য পদক প্রাপ্ত এবং আরো আরো আরো অনেককিছু  বাবা রাহুনাশজী।সঠিক গণনা ও নির্ভুল প্রতিকারের জন্য মানুষের মুখে মুখে একটি কথা- ই ঘোরে :-------- ' সব জ্যোতিষী বার বার , রাহুনাশজী একবার '' প্রচারবিমুখ রাহুনাশজী বলেন ' আমি জ্যোতিষ গবেষক মাত্র '।আর তাই তিনি সহজেই বলতে পারেন ' ভাগ্য লেখেন বিধাতা পুরুষ, জ্যোতিষী দেখান পথ আস্থা  রেখে সস্থাদরে পূর্ণ করো মনোরথ।' রাহুনাশজী বিনারত্নে অসম্ভবকে সম্ভব করেন।দৈবকার্য্য দ্বারা শ্লেষ্মা থেকে কেচ্ছা, আমাশয় থেকে গর্ভাশয়, পাগলামি থেকে  ছ্যাবলামী, তোতলামি থেকে মাতলামি যে কোন রোগ হইতে সুস্থ করেন।তবে  তিনি মনে করেন মানুষের জীব...

রম্য রচনা : বুড়ো দাঁতালের প্রেমের উচ্ছ্বাস

Image
অতি সম্প্রতি মেদিনীপুর জেলার চাঁদড়া বিট এলাকার ঘটিয়া যাওয়া  ঘটনাটিকে লইয়া তোমরা যেভাবে হৈচৈ আরম্ভ করিয়াছ, আমি তাহার তীব্র প্রতিবাদ জানাইতেছি।এমনকি শুনিতেছি তোমরা নাকি পেপারের প্রথম পাতাতেই আমার ছবিও বাহির করিয়া দিয়েছো।তোমাদের ব্যক্তিগত ব্যাপারে কি আমরা কখনও নাক গলাইয়া থাকি ? তাহা হইলে আমাদের ' হস্তিগত' ব্যাপারে তোমরা নাক গলাইবে কেন ? দীর্ঘদিন ধরিয়া দেখিতেছি যে আমরা ভাটমারা, খরিকাশুলি, নোহারি,গিলাবনী, পিয়ারডোবা, ধাদিকা, শ্যামনগর, গড়বেতা,রসকুন্ডু, পানিকোটর, বীরঘসা, খড়কুশমা, আরাবাড়ি ও জয়পুরের জঙ্গল সহ যে এলাকাতে বিচরণ করিয়া থাকি তা তোমাদের পছন্দ নয়।একবার আমরা কলকাতার রাস্তা ধরে প্রাতঃ ভ্রমণে বেরিয়েছিলাম, তখন তোমাদের বাংলা দৈনিক গুলি কত কীই না লিখিয়াছিল।আমরা তাহাও সহ্য করিয়াছি।অথচ দেখ আমরা বিগ্রেড অভিমুখেও যাই নাই,আবার রাইটার্স  অভিমুখেও যাই নাই। আমাদের কোন দাবী নেই।তাহা বলিয়া আমাদের কোন অধিকার থাকিবে না কেন ?এই পৃথিবীর আলো বাতাস মাটিতে আমাদেরও সমান অধিকার আছে। বিবর্তনের ইতিহাসের গতিপথের যদি চুলচেরা  বিশ্লেষণ করা হয় তবে কি এইকথা দাঁড়াইবে না যে ,আমরা উভয়েই আসিয়াছি ...

রম্য রচনা : বিজ্ঞাপনের পাতা

Image
                            পাত্রী চাই তাম্বুলী,২৮+,৬'২",সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, সুদর্শন অর্ধশিক্ষিত, কর্মবিমুখ, ইঁচড়ে পাকা, ফুটনিবাজ, দাবীহীন পাত্রের জন্য একমাত্র সন্তান পাত্রী চাই। পাত্র ঘর জামাই থাকতে আগ্রহী।ধর্ম,বর্ণ, গোত্র, ও বয়সে কোন বিধিনিষেধ নেই।পাত্রী নয়, পিতার সম্পত্তি -ই একমাত্র বিবেচ্য। সত্ত্বর যোগাযোগ করুন। যোগাযোগের ঠিকানা ; সুযোগ দে প্রযত্নে  সুখ দে গ্রাম : অলসপাড়া ডাক : ধান্দাপুর জেলা : স্ফূর্তিনগরী                        হারানো-প্রাপ্তি- নিরুদ্দেশ গত শনিবার কলহ নগরীর কেঁদো পুকুরের পাড়ের একটি কুচলা গাছের কোটরে একটি ক্ষত- বিক্ষত হৃদয় কুড়াইয়া পাইয়াছি।হৃদয়ের উপরে লাভ চিহ্নের ছবি  আঁকা এবং মাঝখানে একটি গোলাপের কাঁটা ফুটানো অবস্থায় আছে। বর্তমানে উহা আমার ডিপফ্রিজে রাখা আছে।উপযুক্ত প্রমাণ সহ লইয়া গেলে বাধিত হইবো, অন্যথায় কেচলিয়ে কেছ্যা কেলেঙ্কারি না করায় ভাল । যোগাযোগের ঠিকানা ; দাম্পত্য  পতি অবৈধ পাড়া গ্রাম +,ডাক ------- ক...

রম্য রচনা : আধুনিক বাস্তব ব্যাকরণ - এককথায় প্রকাশ

Image
মাফ করবেন।ব্যাকরণ বিশেষজ্ঞ আমি নই।ব্যাকরণ নিয়ে দু- চার কথা বলবো এমন স্পর্ধা বা আস্পর্ধা কোনটাই আমার নেই।মনে পড়ে যায় স্কুলের কথা।আমি পড়তাম গড়বেতা হাইস্কুলে।আমাদের বাংলার শিক্ষক অবনীবাবু একবার আমাকে ' বিশেষজ্ঞ' শব্দটির ব্যাসবাক্য সহ সমাস বলতে বলেছিলেন।আমি বলেছিলাম ' যিনি বিশেষরূপে অজ্ঞ'।আমার কথা শুনে অবনীবাবুর মত রসিক মানুষও আমাকে আলতো ধমক দিয়েছিলেন।কিংবা উনি ইচ্ছে করলেই ' সর্বজ্ঞ' কথাটির ব্যাসবাক্যসহ সমাস ধরতে পারতেন। কিন্তু ধরেন নি।খুব সম্ভবত আমি উত্তরে কি বলতে পারি সে সম্পর্কে আগাম একটা কিছু আঁচ করেই পিছু হটে যান।যাই হোক আমার ব্যাকরণ জ্ঞানের এটি একটি নমুনা মাত্ৰ। তবে হ্যাঁ , আমি হলফ করে বলতে পারি বহু বাস্তব ঘটনার  মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতা  আমাকে বাস্তব ব্যাকরণে  চোস্ত করেছে।হয়তো পাঠ্যপুস্তকে পড়া ব্যাকরণের সাথে মিল নেই বাস্তব ব্যাকরণের। তাতে কি ? বাস্তব পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হতে মানুষ নিজে নিজেই কিছু জীবনের ব্যাকরণ শিখে যায়। একে যদি বাস্তব ব্যাকরণ বলি তাতে ভুল কি? এখানে মূলত ' এককথায়'  প্রকাশের কিছু নমুনা পেশ করছি।আমার বাস্তব ব্যাকরনের সাথে ...

রম্য রচনা : এ সপ্তাহের আবহাওয়ার পূর্বাভাস

Image
( বাঁকুড়া খ্রিস্টান কলেজ মাঠে আয়োজিত বাঁকুড়া বইমেলা ২০০৭ কে মনে রেখে রচিত)     (২৬ শে ডিসেম্বর ২০০৭ - ১ লা জানুয়ারি ২০০৮) সূর্যোদয় :  যার যা কাজ সে নিজেই করুক।সব ব্যাপারে নাক না গলানোই ভাল। শুধু এটুকু জেনে রাখুন সূর্য উঠুক  বা না উঠুক সকাল হবেই।আপনি নিরাপদে বেলা ৮ টা পর্যন্ত লেপের ভেতরে অবস্থান করুন।মনে রাখবেন লেপে ঢোকা যত সহজ বেরোনো কিন্তু তত নয়। সূর্যাস্ত : ওটা সূর্যের হাতেই ছেড়ে দিন।এ সপ্তাহের প্রতিদিন একবার করে সন্ধ্যে নামবেই। তাপমাত্রা :  প্রতিদিন বেলা ১ টা থেকে রাত্রি ৮ টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পুস্তক ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড  এবং রাত্রি  ৮ টার পর থেকে বেলা বেলা ১ টা পর্যন্ত সর্বনিম্ন বইশূন্য ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। আপেক্ষিক আর্দ্রতা : মেলার ভিড়ে হঠাৎ কারো দেখা প্রেমিক মনকে আর্দ্র করতে পারে।সবই মায়া।নিজেকে শুষ্ক রাখতে যুক্তি নির্ভর হোন। প্রয়োজনে  আইনস্টাইন সাহেবের আপেক্ষিক তত্ত্বের কথা স্মরণ করুণ।পাঁচকান করে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বাড়িয়ে ব্যাপারটাকে জল করবেন না।হয় বুকের মাঝের ডিপফ্রিজে বেদনাকে জমিয়ে নিরেট বরফ করুন নতুবা  হা - পিত্যেশ ...

রম্য রচনা : কালুর দুঃখ

Image
আমার সারা শরীরের স্থানে স্থানে দগদগে ঘা।রোদে একদম থাকতে পারি না।মুখের ভাষায় আমার যন্ত্রণার কথা আজও তোমাদের বোঝাতে পারলাম না।তোমাদের দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকাই।তোমরা বোঝ না, নাকি না বোঝার ভান কর তাও আমি বুঝতে পারি না।এ যে কি যন্ত্রণা, যে ভোগ করে সেই বোঝে ! হটাৎ যে তোমাদের কি হল আমি ঠিক বুঝতে পারছি না। আমার উপর রাগ হয়েছে।তবে শাসন কর।কিংবা ক্ষমা পরম ধর্ম তা তো জানোই -- সেই সূত্রটার প্রপার এপ্লিকেশন কর।তাও তো কোরছো না।দোহাই তোমাদের, আমাকে পরপর ভেবো না। সারাটা জীবন তোমাদের সেবা করে এসেছি।সুখে দুঃখে সব সময় তোমাদের পাশে পাশেই থেকেছি।আজ আমার এই দুঃসময়ে তোমাদের কাছে এমন দুর্ব্যবহার পাব তা সত্যিই দুর্ভাগ্যের  এবং দুঃখজনক।তোমাদের কোয়ার্টারের সিঁড়িগুলিতে এক সময়ে লেজ নাড়িয়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছি, অথচ সেই তোমরাই অসুস্থ, রুগ্ন কালুকে দেখলে তেড়ে আসছো।তোমাদের ক্যাম্পাসের সদানন্দবাবু যিনি সদাই হাসিমুখে থাকেন, তিনিও আমাকে লাঠি দেখাচ্ছেন।অরুণবাবু চোখ রাঙিয়ে বিকট আওয়াজ করছেন।আমার দু চোখ জলে ভাসে। তোমরা তা দেখতে পাও না।পৃথিবীতে আমার আর বেশিদিন নেই।পরপারে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।যে কটাদিন বাঁচি, আছি ত...

রম্য রচনা :এক ব্যস্ত মানুষের সাক্ষাৎকার

Image
 রম্য রচনা  :   এক ব্যস্ত মানুষের সাক্ষাৎকার   প্রত্যেক শহরেই দেখবেন এমন কিছু মানুষ পাওয়া যায় সব ব্যাপারে যাদের ব্যস্ততা নজর কাড়ে। এরা নামে পরিচিত তা নয়। পরিচিতি হাবেভাবে ব্যস্ততায়। ধান্দাবাজ, সুযোগ সন্ধানী। প্রচুর উপাধি এরা আড়ালে আবডালে আলোচনায় পেয়ে থাকেন। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল এরকম-ই একজনের সাথে একান্ত আলাপচারিতার। আমাদের কথোপকথন হুবহু তুলে ধরলাম।  প্রশ্ন :  আপনার নাম?  উত্তর :  বিরক্তি কর।  প্রশ্ন : আপনি কোথায় থাকেন?  উত্তর : জানেন না বুঝি? আমি তালে থাকি। মাতালেও থাকি। প্রশ্ন : আপনার ব্যস্ততার কারণ কি? উত্তর : মোটে-ই ব্যস্ত নই, আমি শশব্যস্ত। প্রশ্ন : আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা কি? উত্তর : ওহ! ডিগ্রীর কথা বলছেন? তা থার্ড ডিগ্রি পর্যন্ত অভিজ্ঞতা আছে। প্রশ্ন : এই ব্যস্ত ভাব দেখিয়ে আপনি কি করেন? উত্তর : আখের গোছাই। প্রশ্ন : আপনার কাছে সবচেয়ে বড় জিনিস কি? উত্তর : স্বার্থ। প্রশ্ন : আপনি কি করেন? উত্তর : যাই করি না কেন, তড়িঘড়ি করি। প্রশ্ন : না, না, আমি বলছিলাম আপনি কি কাজ করেন? উত্তর : মুখে যা বলি ঠিক তার উল্টোটা। প্...

রম্য রচনা : শ্রাবণ মাস কেমন যাবে ?

Image
  মেষ: কর্মক্ষেত্রে নতুন যোগাযোগ।  ধান্দাবাজির চরম শিখরে, আরোহন করুন। হাত মুষ্টিবদ্ধ করুন। দেখবেন কোন সুযোগ যেন হাতছাড়া না হয়। বুড়োবাবার হাড়সর্বস্ব দেহে ঠেঙালে যদি পয়সা না পড়ে তবে কোনো সুন্দরী যুবতীর নাদুস নুদুস বাবাকে টোপ দিন। গোঁফে তেল দিয়ে ঘুমোনোর সময় এটা নয়। তাই বলে যত্রতত্র তৈলাক্ত করিবেন না। প্রপার জায়গায় তৈলমর্দন করুন এবং ল্যাজ নাড়তে থাকুন। বৃষ: দেহকষ্ট অবসাদ ভুল বোঝাবুঝি। অযথা কাজ করার কোনো ঝুঁকি নেবেন না। দেহকষ্ট লাঘব করতে বিছানায় শুয়ে জেগে ঘুমানোর অনাবিল আনন্দ উপভোগ করুন। বুকের জ্বালা  বুকেই চেপে রাখুন। লক্ষ্য রাখবেন যেন অন্য কেউ জানতে না পারেন। পাড়ার ছেলেরা বক্স বাজিয়ে নাচানাচি করলে বারান্দা অথবা ব্যালকনিতে এসে দেখুন এবং মুখে  ‘আহা’ ‘আহা’ করুন। বৃষ্টিমুখী কালো মেঘের দিকে তাকিয়ে মেঘে ঢাকা তারার মতো নিজের সুখস্মৃতির  জাবর কাটতে থাকুন। মেয়ে দেখলেই নানা ছলছুতোয় গায়ে পড়ে উপকার করার আপনার  সু-অভ্যাসটিকে আপাতত এ মাসটা দমিয়ে রাখুন। অন্যথায় গৌণভাবে হলেও যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়তে পারেন। মিথুন: বিবাহের শুভযোগ। মনে রাখবেন...

রম্য রচনা : এক আস্ত ভূতের সাক্ষাৎকার

Image
 রম্য রচনা : এক আস্ত ভূতের সাক্ষাৎকার যুগ যুগ ধরে ভূতের কথা শুনে আসছি। কেউ কেউ বলেন ভূত আছে। কারো কারো মতে ভূত নেই। এ নিয়ে প্রচুর তর্কবিতর্ক আগেও হয়েছে এখনো হয় আবার ভবিষ্যতেও হতে থাকবে। তবে আমাদের মুখ দেখে রক্তে ভূতের গন্ধের উপস্থিতি সহজেই অনুমান করা যায়। ভাগ্যক্রমে আমি একবার ভূতের দেখা, থুড়ি থুড়ি উপস্থিতি অনুভব করেছিলাম। কালবিলম্ব না করে একটি সাক্ষাৎকারও নিয়ে ফেলি। আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি ভূত আমাকে বিমুখ করে নি। আমার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর সহজ সাবলীল ভাষায় দেয়। আমি হুবহু সেই সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরছি।  প্রশ্ন : ভূত যে আছে তার প্রমাণ কি?  উত্তর : শাস্ত্র মতে নিত্যপূজা বিধিতে ভূতশুদ্ধির কথা আছে। ভূতাদয় পূজায় গৃহীত মন্ত্র। এর পরেও কি বলবেন ভূত নেই।  প্রশ্ন : আপনি যে ভূত তার প্রমাণ কি?  উত্তর : আপনার মত এক আস্ত ভূতকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছি, তাই।  প্রশ্ন : ঠিক এই মুহূর্তে আপনি কি করছেন?  উত্তর : দেখতেই তো পাচ্ছেন, শ্যাওড়া গাছের ডালে ঝুলছি।  প্রশ্ন : আপনি সবচেয়ে বেশি আনন্দ কিসে পান?  উত্তর : সর্ষের ভিতর ঘুমিয়ে।  প্রশ্ন : আপনা...