রম্য রচনা : দাঁতালের প্রেম
আড়াবাড়ির গভীর জঙ্গলের দিকে এগিয়ে চললো কুনকি। কুনকির চালচলনে যে একটা হম কিসিসে কম নহী ভাব আছে তা তার চলার ছন্দ দেখেই বুঝা যায়।কুনকির ফেটে পড়া যৌবনে যে জাদু আছে তা কুনকির ট্রেনার জানে।আজ পর্যন্ত সে কম দাঁতালকে কাবু করে নি।কুনকির উপর ভরসা করা যায়।সেই আশাতেই বিট অফিসার ও রেঞ্জার সাহেবের রক্ত উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটতে লাগলো।দলছুট দাঁতালকে ও মাতাল করে ছাড়বে সেই আশাতেই ভরসা করে বসে আছেন রেঙ্গার সাহেব।
আবিষ্কার করলো এতক্ষণ যে সব কথা বলে দাঁতালকে ফাঁদের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল তা শুধু তার মুখের কথা নয়, মনেরও।
কুনকি দাঁতালের শুঁড়ে শুঁড় রেখে বললো " প্রিয়তম তোমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবো না।আমায় তোমার দলমায় নিয়ে চল ? কুনকির কথা শুনে অশ্রুভেজা চোখে দাঁতাল ধরলো গান -----
দলমার দাঁতাল আমি
কুনকিরে তুই শোন
তোর জন্য পাগলপারা
হল আমার মন
ওরে কুনকিরে ওরে কুনকিরে----
মানুষের সাথে মিশে
করিস কেন ছল
ভুলে গেলি কি তুই ওরে
দলমার জঙ্গল
ওরে কুনকিরে ওরে কুনকিরে-------
পাতবো ঘর দুজনে মিলে
দলমার জঙ্গলে
মাঝে মাঝে মেদিনীপুর
আসবো দলে দলে
ওরে কুনকিরে ওরে কুনকিরে --------
মানুষের পাতা ফাঁদে
দিস না রে তুই পা
দলমাতে চল তুই
হবি আমার ছেলের মা
ওরে কুনকিরে ওরে কুনকিরে -------
অশ্রুসিক্ত চারচোখ তখন ঘর বাঁধার স্বপ্নে বিভোর।
দাঁতাল বললো " , কিন্তু আমার বয়স অনেক বেশী।"
কুনকি মুচকি হেসে বললো 'প্রেমে বয়স নেই।'
দুজনেই এগিয়ে চললো দলমার দিকে।
----------------------
লেখক : ডঃ গৌতম কুমার মল্লিক
খুব ভালো
ReplyDeleteধন্যবাদ।
Delete